ভারত ভ্রমণে ‘নির্দিষ্ট রুট’ বাধা থাকছে না!

Encrypting your link and protect the link from viruses, malware, thief, etc! Made your link safe to visit.






ঢাকা: আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় ভারতের ভিসা প্রক্রিয়া এখন অনেকটাই সহজ। ই-টোকেনের জটিল ঝক্কি নেই। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভাগ করা হয়েছে ভিসা কেন্দ্র। নারীদের জন্য রয়েছে বিশেষ সুবিধা। ভিসা আবেদনের সঙ্গে বাধ্যতামূলক টিকিট যুক্ত করার প্রক্রিয়াও এখন শিথিল (চট্টগ্রাম)। যেকোনো রুটের ভিসা থাকলেই এখন রেল, এয়ার ও হরিদাসপুর বর্ডার দিয়ে যাতায়াতের সুযোগ যার সবশেষ সংযোজন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার বিভিন্ন আন্তরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ পদক্ষেপে সামনে আরও সহজ হচ্ছে ভারতে যাতায়াত।
হাই কমিশন সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের মধ্যেই ভারত যেতে ভিসায় লেখা নির্দিষ্ট রুট দিয়ে যাতায়াতের বাধ্যবাধকতা আর থাকছে না। এ লক্ষ্যে কাজ করছে কেন্দ্র। রুট বাধা উঠে গেলে ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যের ৩২টি চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াত করা যাবে। মাল্টিপল ভিসা থাকলে যে কোনো সীমান্ত দিয়ে যতোবার খুশি ভারত যেতে কোনো বাধা থাকবে না। এমনকি এক সীমান্ত দিয়ে অন্য সীমান্ত দিয়ে বের হতেও থাকবে না কোনো ঝামেলা।
ঈদ ভিসা ক্যাম্প, বিভিন্ন কোটা, প্রতিদিন ছয় হাজারের বেশি ভিসা দেওয়া প্রভৃতি পদক্ষেপের কারণে দিন দিন ভারতে বাড়ছে বাংলাদেশি পর্যটক। ২০১৬ সালে ভারতে ভ্রমণকারী পর্যটকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পর্যটক গেছে বাংলাদেশ থেকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বিভিন্ন চুক্তির মধ্যে দুই দেশের রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে অগ্রগতি যোগাযোগ আরও বাড়াবে।
ভারত যেতে বাংলাদেশিদের সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় রুট নিয়ে। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী ভিসায় একটি রুট উল্লেখ করা যায়। ধরুন আপনার রুট লেখা আছে ডাউকি। মানে ছয় মাস কিংবা এক বছরে আপনি অন্য রুট দিয়ে আর যেতে পারবেন না। যেতে গেলে একমাত্র উপায় আরও রুট যুক্ত করার আবেদন অথবা বাতিল করে ফের ভিসার আবেদন করা। 
আবার কেউ যদি হরিদাসপুর দিয়ে ঢুকে ডাউকি কিংবা আগরতলা দিয়ে বের হতে চান তাহলে সে সুযোগও এখন নেই। নতুন পদ্ধতি চালু করা গেলে এ সমস্যা থাকবে না।
এই সমস্যার কারণে অনেকেই মাল্টিপল ভিসা থাকা সত্ত্বেও একাধিকবার ভারতে যেতে পারেন না। 
জানা যায়, দীর্ঘদিন এই সমস্যা থেকে উত্তোরণের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে দেশটি। তবে ৩২টি চোকপোস্টকে একটি নেটওয়ার্কের আওতায় আনার মতো প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সাপোর্ট এই মুহূর্তে নেই। কোথাও কোথাও আবার ইন্টারনাল সার্ভারের জন্য যে ব্যান্ডউইথ প্রয়োজন সেটা পাওয়া যাচ্ছে না। ইন্টারনেটের মাধ্যমে সার্ভারে নেটওয়ার্কিং সিস্টেম গড়ে তুলতে পারলে যেকোনো রুট দিয়ে ঢোকা কিংবা বের হলেও তার ডাটা সার্ভারে থেকে যাবে। এতে যাত্রীকে শনাক্ত করতে কোনো সমস্যা থাকবে না।
এই সিস্টেম চালু করতে এরইমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। তবে এখনই চালু হচ্ছে না। আগামী ছয় মাসের মধ্যে ইতিবাচক একটি ফলাফল পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ভারত। নতুন নিয়ম চালু হলে ভারতে পর্যটক আরও বাড়বে বলেই আশা সংশ্লিষ্টদের।

Comment

Post a Comment