বাংলাদেশের গর্ব এখন কলকাতায়

Encrypting your link and protect the link from viruses, malware, thief, etc! Made your link safe to visit.

কলকাতায় এখন চলছে জয়া-জ্বর! কৌশিক গাঙ্গুলীর ‘বিসর্জন’ পাল্টে দিয়েছে অনেক হিসাব-নিকাশ। ছবিতে জয়ার অনবদ্য অভিনয়কে বাংলা ছবির অন্যতম সেরা পারফরম্যান্সের একটি বলে উল্লেখ করেছে পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি গণমাধ্যম। কেউ লিখছেন, ‘বাংলাদেশের গর্ব এখন কলকাতায়’, কেউ লিখছেন ‘টালিগঞ্জের নায়িকাদের ঘুম হারাম করে দিয়েছেন জয়া’। ‘বিসর্জন’ শ্রেষ্ঠ বাংলা ছবি হিসেবে জিতে নিয়েছে ভারতের জাতীয় পুরস্কারও। গত সপ্তাহে বাংলাদেশের ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৫’ ঘোষণা করা হয়েছে। ‘জিরো ডিগ্রি’ ছবির জন্য এবারও শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পাচ্ছেন এই অভিনেত্রী। এ নিয়ে তৃতীয়বার পাচ্ছেন এই পুরস্কার। আগে পেয়েছিলেন ‘গেরিলা’ ও ‘চোরাবালি’র জন্য। বছরের পর বছর অভিনয় করেও অনেকে পাননি রাষ্ট্রীয় সম্মান। সে ক্ষেত্রে জয়া ভীষণ ভাগ্যবতী। বাংলাদেশে মাত্র সাতটি ছবি মুক্তি পেয়েছে, তিনটিতেই পেয়েছেন জাতীয় স্বীকৃতি। জয়া বলেন, ‘বরাবরই গুণী নির্মাতাদের ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব গ্রহণ করেছি, আমার কৃতিত্ব এখানেই। পুরস্কারের পুরো কৃতিত্ব ছবির নির্মাতা, সহশিল্পীসহ পুরো ইউনিটের এবং অবশ্যই দর্শকের। ’
‘জিরো ডিগ্রি’তে অভিনয়ের সময়ই কি জয়া ভেবেছিলেন পুরস্কার পাবেন? ‘একদমই না। পরিচালক অনিমেষ আইচ ও প্রযোজক মাহফুজ আহমেদ তাঁদের প্রথম ছবিতেই আমাকে নির্বাচন করেছেন, এজ ন্য সব সময়ই তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। শুনতে ক্লিশে মনে হলেও সত্যি, একটি ক্রেস্ট অনুপ্রেরণা বাড়িয়ে দেয়। তবে দর্শক যে কষ্ট করে আমাদের ছবি দেখেন, মতামত জানান, একজন অভিনয়শিল্পীর জন্য এটিই বড় পুরস্কার’—বললেন জয়া।
শিগগিরই জয়া অভিনীত এবং প্রযোজিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ভালোবাসার শহর’ মুক্তি পাবে ইউটিউবে। ‘ফড়িং’খ্যাত নির্মাতা ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরীর এ ছবিটি নিয়েও জয়ার অনেক আশা। ‘বৃষ্টি তোমাকে দিলাম’ ছবির সেট থেকে তেমনটিই জানিয়েছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের নতুন পরিচালক অর্ণব পালের এই ছবিতে জয়া অভিনয় করছেন চিরঞ্জিৎ, রাজেশ শর্মা, রজতাভ দত্তর সঙ্গে। সামনেই পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাবে আবীর চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘আমি জয় চ্যাটার্জি’। ‘বেলাশেষে’, ‘প্রাক্তন’খ্যাত নির্মাতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়-নন্দিতা রায় জুটির ‘কণ্ঠ’তেও  অভিনয় করার কথা। ওপার বাংলার ছবির তালিকা দেখে এপার বাংলার দর্শকের মন খারাপ করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ জয়ার মতে, বাংলাদেশেই তিনি তুলনামূলক বেশি কাজ করছেন। আকরাম খানের ‘খাঁচা’, সামুরাই মারুফের ‘মেসিডোনা’, নুরুল আলম আতিকের ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ ও ‘পেয়ারার সুবাস’, মাহমুদ দীদারের ‘বিউটি সার্কাস’, সাইফুল ইসলাম মান্নুর ‘পুত্র’ এবং জয়া আহসান প্রযোজিত ‘দেবী’ একে একে মুক্তি পাবে বাংলাদেশে।
এবার ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ, ওপার বাংলায় জোর গুঞ্জন—সেখানকার এক নায়কের চোখেই নাকি জয়ার জন্য রাজ্যের ভালোবাসা মজুদ? উচ্চকিত হাসি জয়ার। হাসতে হাসতেই জবাব দেন—‘শুরুতে পরিচালক এবার নায়ক। এরপর হয়তো অন্য কোনো নাম শুনতে হবে। আমি কিন্তু নিজেকে নিয়ে পত্রিকার পাতার পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি ভীষণ উপভোগ করি। তবে চুপিচুপি আপনাকে বলি, লোকের কথায় কান দেবেন না। যখন সত্যি সত্যিই ভালোবাসব আমিই বলব, হাসব, গাইব—বন্ধু তোর লাইগারে, বন্ধু তোর লাইগারে, আমার তনু জরজর, মনে লয় ছাড়িয়ারে যাইতাম থু্ইয়া বাড়িঘর...’

Comment

Post a Comment